Loading...
লোভনীয় কিমা খিচুড়ি

খিচুড়ি যে কত ধরনের হতে পারে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। একটু বৃষ্টি হলেইখিচুড়ি খেতে মন চায়। তবে সবসময় একই রকম খিচুড়ি খেতে ভালো নাও লাগতে পারে। চাই সবসময়ই একটু নতুনত্ব। আমাদের দেশে কিমা খিচুড়ির প্রচলন খুব একটা নেই। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, দেখতেও সেরকম লোভনীয়। ঘরে থাকা উপকরণ দিয়েই এটি তৈরি করতে পারেন যেকোন বৃষ্টিস্নাত দিনে।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

  • ২/৩ কাপ মসুর বা মুগ ডাল বা মিক্স
  • ১/৪ কাপ পেঁয়াজ কুচি
  • ২.৫ কাপ চিনিগুঁড়া চাল
  • ৩-৪ টি এলাচ
  • ৪-৫ টি লবঙ্গ
  • ২ টুকরা দারুচিনি
  • ১ চা চামচ আদা বাটা
  • ১ চা চামচ রসুন বাটা
  • ১ চা চামচ জিরা বাটা
  • ১ চা চামচ গরম মসলা গুঁড়া
  • ১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া
  • ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
  • ৪ টি কাঁচামরিচ
  • লবণ স্বাদমতো
  • ১/৪ কাপ পুষ্টি সয়াবিন তেল
  • ১টেবিল চামচ ঘি
  • ২ কাপ মাংসের কিমা
  • ১/২ কাপ কিউব করা আলু
  • ১/৩ কাপ মটরশুঁটি
  • ১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি
  • ১/২ চা চামচ আদা বাটা
  • ১ চা চামচ রসুন বাটা
  • ২ টেবিল চামচ টক দই
  • ২ টি তেজপাতা
  • ৩ টি এলাচ
  • ১ টুকরা দারুচিনি
  • ১ টি শুকনা মরিচ
  • ১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়া
  • ১ চা চামচ জিরা গুঁড়া
  • ১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া
  • ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁঁড়া
  • ১/২ চা চামচ গরম মসলা গুঁড়া
  • ৩ টেবিল চামচ পুষ্টি তেল
  • ৩-৪ টি কাঁচামরিচ
  • ১ টি পাকা টমেটো
  • ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বেরেস্তা
  • ৩ টেবিল চামচ ধনিয়া পাতা কুচি
  • স্বাদ মতো লবণ
  • পানি পরিমাণ মতো
  • ২ টি তেজপাতা

প্রস্তুত প্রণালী

  • 1

    কিমা রান্না করা

    একটি পাত্রে ১/৪ কাপ তেল দিয়ে গোটা গরম মসলা ও শুকনা মরিচ ফোঁড়ন দিন। এরপর এতে পেঁয়াজ বেরেস্তার মতো ভেজে নিন। ভাজা হলে আদা বাটা, রসুন বাটা, ফেটানো টক দই, মরিচ, হলুদ, জিরা, ধনিয়া গুঁড়া, লবণ দিয়ে মাঝারি আঁচে ১ মিনিট ভেজে, ১/৪ কাপ পানি দিতে হবে। এই পানি শুকিয়ে উপরে তেল ভেসে উঠলে এতে কিমা দিয়ে দিতে হবে, চুলার আঁচ বাড়িয়ে মসলার সাথে কিমা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। কিমা মসলার সাথে ২-৩ মিনিট কষানো হলে এতে কিউব করে কেটে রাখা আলু, টমেটো ও মটরশুটি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রান্না করতে হবে ৫ মিনিট। ঢাকনা তুলে ভালো ভাবে নেড়ে-চেড়ে দিন, উপরে তেল ভেসে উঠলে আরও ১/৪ কাপ গরম পানি দিন। আলু সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত এটি ঢেকে কম আঁচে রান্না করতে হবে। মাঝে নেড়ে চেড়ে দিয়ে আলু নরম হয়েছে কিনা দেখতে হবে এবং সিদ্ধ না হলে আরও ১/৪ কাপ পানি দেওয়া যেতে পারে। আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে ঝোল কিছুটা মাখা-মাখা রেখে এতে কাঁচা মরিচ দিয়ে ঝোল একেবারে কমিয়ে নামিয়ে নিন।

    শেষ হলে মার্ক করে রাখুন

  • 2

    খিচুড়ি রান্না করা

    মুগ ডাল একটি তাওয়া বা কড়াইতে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট টেলে নিতে হবে। টেলে নিয়ে চাল মসুর ডালের সাথে মিশিয়ে বার বার পানি বদলে ধুয়ে নিয়ে হবে। চাল ও ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। চাল-ডাল আলাদাভাবে পানি ঝরাতে ছাঁকনিতে রাখুন। একটি পাতিলে এক কেজি পানি গরম দিন। একটি হাড়ি চুলায় মাঝারি আঁচে বসিয়ে তাতে তেল গরম করে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা ও লবঙ্গের ফোঁড়ন দিন ; গরম মসলা সুগন্ধ ছড়ালে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ৫ মিনিট ভেজে নিন। এর পর বাকি সব মসলা ভাজা পেঁয়াজে দিয়ে ভাজতে থাকুন মসলার কাঁচা গন্ধ চলে যাওয়া পর্যন্ত। এসময় ১/৪ কাপ পানি দিয়ে হবে যাতে পাতিলের তলায় মসলা লেগে না যায়। পানি শুকিয়ে মসলা কষানো হলে চাল-ডাল দিয়ে লবণ দিয়ে দিন পরিমাণ মতো, খুব ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে ভাজতে হবে ১৫ মিনিট অথবা চালের মাঝে সাদা সাদা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। ভাজার সময় চুলার আঁচ মাঝারি থেকেও কম থাকবে। চাল ভাজা হয়ে আসলে এতে চালের দ্বিগুণ ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে চুলার জ্বাল বাড়িয়ে দিতে হবে টগ-বগ করে ফুটে উঠলে এতে কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে রান্না করতে হবে পানি শুকানো পর্যন্ত। ১৫ মিনিট পর পর ঢাকনা তুলে দেখুন চাল কতোটুক সিদ্ধ হয়েছে।

    শেষ হলে মার্ক করে রাখুন

  • 3

    মূল কিমা-খিচুড়ি রান্না

    ১৫ মিনিট পর চুলার জ্বাল বন্ধ করে, চাল থেকে অর্ধেকটা একটি পাত্রে তুলে রাখুন। বাকি অর্ধেক সমান ভাবে বিছিয়ে নিয়ে উপরে কিমা বিছিয়ে দিন। কিমার উপর বাকি অর্ধেক খিচুড়ি বিছিয়ে উপরে ঘি দিন। চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে তার উপর একটি তাওয়া বসিয়ে দিন। তাওয়ার উপর কিমা খিচুড়ি ঢাকনা দিয়ে দমে বসিয়ে দিন ২০ মিনিটের জন্য। নামিয়ে আলতো ভাবে চামচ দিয়ে হালকা মিশিয়ে সার্ভিং ডিশে ঢেলে বেরেস্তা ও ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে দিন।

    শেষ হলে মার্ক করে রাখুন

0

আপনিও এইগুলি পছন্দ করতে পারেন